নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়াম হোসেনকে এবার তোলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ আদালতে। পরে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আদালত ফোরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট আওতায় মামলা করেছেন।এই প্রথম তার নামে দুটি পৃথক মামলা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দুটি আদালত। সোমবার (১৫ জুলাই) সেই মামলার রায় অনুযায়ী, চারদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।এর আগে ৫ জুলাই সিয়ামকে তোলা হয়েছিল বারাসাত আদালতে। সেই আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) শুভঙ্কর বিশ্বাস তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুলাই তাকে আবার তোলা হবে বারাসাত আদালতে। কিন্তু তারই মধ্যে সোমবার বনগাঁ আদালত সিয়াম হোসেনের নামে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার কারণে ফোরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট আওতায় মামলা দিয়েছেন। এ বিষয়ে বনগাঁ আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, অভিযুক্ত সিয়াম বাংলাদেশের এমপি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যেহেতু তিনি বাংলাদেশি নাগরিক এবং সিআইডির কর্তাদের তথ্য মতে, সিয়াম বনগাঁ সীমান্ত দিয়েই কলকাতায় আসেন। কিভাবে তিনি ভারতে এলেন? সেই জেরা করার জন্যই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছিল সিআইড। বিচারক তাতে সম্মতি দিয়ে সিয়ামকে চারদিনের সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মূল মামলাটি নিউটাউন থানায় চলছে বলে জানান ওই আইনজীবী।৭ জুন সিআইডি জানায়, বাংলাদেশের ভোলার বোরহানউদ্দিনের আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিয়াম (৩৩), বনগাঁ এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ জুন প্রথম তাকে বারাসাত আদালতে তোলা হয়েছিল। তার নামে এমপি হত্যার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৩৬৪, ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১২০বি ধারাও দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩৬৪- হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ, ৩০২- অপরাধমূলক নরহত্যা, ২০১- তথ্য লোপাট অর্থাৎ অস্ত্র ও মরদেহ পরিকল্পনা করে সরিয়ে ফেলা, ৩৪- একত্রে ষড়যন্ত্র এবং ১২০বি- অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে) অর্থাৎ এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ রায় হিসেবে বিচারক আমৃত্যু যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দিতে পারেন।সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সিয়ামকে বেশি দিন রাখতে চায় না সিআইডি। সেই কারণে তার নামে ফোরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট আওতায় মামলা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় তিনি দোষী সাবস্ত্য হলে তাকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা হতে পারে।