নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।আপিল বিভাগে আবেদনটি দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভুইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম আবেদনটি শুনানির জন্য বুধবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, আদালতে আবেদন ব্যক্তি উদ্যোগে হয়েছে, আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তাদের কোনো প্রতিনিধি আদালতে যাননি।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা সবাইকে নিশ্চিত করছি যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে কোনো প্রতিনিধি আদালতে যাননি। আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগের কাছে। সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে সব ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছেন, নিজ উদ্যোগে গিয়েছেন। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।সরকারি সব গ্রেডের চাকরিতে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষ সোমবার রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, মৎস্যভবন, পল্টন মোড়, গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ রাখেন আন্দোলনকারীরা।এদিন রাত সাড়ে ৮টায় শাহবাগ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, মঙ্গলবার সড়ক ব্লকেডের আওতামুক্ত থাকবে। বুধবার ৬৪ জেলায় কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতির জন্য মঙ্গলবার সারা দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক এবং অনলাইনে-অফলাইনে গণসংযোগ করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে ছাত্র ধর্মঘট ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে বলে জানান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।