নিউজ ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা ঘটনা তদন্তে কলকাতার নিউটাউন থানা পৌঁছেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা দল। নিউটাউন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে কথা বলছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।থানায় উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ উপদূতাবাসের কর্মকর্তারাও। এরপরই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত সঞ্জিভা গার্ডেন আবাসনের বিইউ ৫৬ ফ্ল্যাটে যাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা দল।বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান।রোববার (২৬ মে) সকালে স্থানীয় সময় ১১টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা।এমপি আনারের দেহাংশ উদ্ধারই কলকাতায় আসার প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।বিমানবন্দরে নেমেই তিনি জানিয়েছিলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে দুই দেশের গোয়েন্দারা অতি গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছেন। ফলে খুব শিগগিরই এই হত্যারহস্যের উন্মোচন হবে। তবে আমরা আশা করছি, পুরো লাশটা না পেলেও তার একটা অংশবিশেষ উদ্ধার করতে পারব। কারণ, লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার না হলে মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না। এ কারণে আমাদের মূল কাজ হলো দেহাংশ উদ্ধার করা। অন্যদিকে, আসামিদের জেরা করে যদি অন্য কোনো অভিযুক্তের নাম উঠে আসে সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে আটক অভিযুক্তরা তাদের যে বয়ান দিয়েছে কলকাতায় মিলিয়ে দেখা হবে।বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের বিশেষ টিম পৌঁছায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ওয়েস্টিন হোটেলে। সেখানেই দীর্ঘ আলাপচারিতা চলে কলকাতা উপদূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এরপরই বাংলাদেশ টিম আসেন নিউটাউন থানায়।নিউটন থানার সঙ্গে কিছু আলাপচারিতার পর প্রতিনিধিদল রওনা দেন সঞ্জিভা গার্ডেন। যেখানে এমপিকে হত্যা করা হয়েছিল।কলকাতা পুলিশ বলছে , এমপি আনারকে হত্যার পর তার হাড়-মাংস আলাদা করে খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের ভাষ্য অনুসারে, মরদেহ যে খালে ফেলা হয়েছে, সেটিও পরিদর্শন করবে ডিবির টিম। পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্রেপ্তার আসামিদের জেরা করে উঠে আসা তথ্য কলকাতায় মিলিয়ে দেখবেন তারা। আলাপ-আলোচনা চলবে দুই বাংলার গোয়েন্দাদের মধ্যে। ২৬ ও ২৭ মে, দুদিনের সফরে জোর অনুসন্ধান চালাবে বাংলাদেশের গোয়েন্দা টিম।অপরদিকে কৃষ্ণমাটি খালের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ভাঙ্গুরের সাতুলিয়া এলাকা। তবে দুপুরের পরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধার কাজে সমস্যা হওয়ায়, তল্লাশি কাজ বন্ধ করে দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।