নিউজ ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার ৪০ মিনিটে বারাণসীর জেলাশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী হাত থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেন জেলাশাসক এস রাজালিঙ্গম।এ সময় মোদির সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, শিবসেনার দলের একনাথ শিন্ডে, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, তেলেগুদেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুসহ বিজেপি জোটের এনডিএ শরিক নেতারা।
মোদির সঙ্গে আরও ছিলেন পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী, তিনি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার দিনক্ষণ ঠিক করেছিলেন। বৈজনাথ পটেল (ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত একজন আরএসএস স্বেচ্ছাসেবক), লালচাঁদ কুশওয়াহা (ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত বিজেপি নেতা) এবং সঞ্জয় সোনকারের (দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত নেতা) মতো অনেক শীর্ষ নেতারা।
এর আগে সোমবার (১২ মে) বারাণসী শহরে একটি রোড শোতে অংশ নেন মোদি। আগামী ১ জুন সপ্তম অর্থাৎ শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এই বারাণসী আসনে।
এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বারাণসী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন মোদি। এই আসনে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই, এই কেন্দ্রে বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী আথার জামাল লাড়ি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন বিশিষ্ট কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা।
২০১৪ সালে বারাণসী আসন থেকে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালেও এ আসন থেকেই জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালেও বারাণসীই তার আসন।
মোদির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) অন্যতম শরিকদল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়া জানিয়েছেন, চলমান নির্বাচনে এনডিএ জোট চারশ বেশি আসনে জয়ী হবে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদি। ওই নির্বাচনে ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ) প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেছিলেন মোদি।
২০১৯ সালের নির্বাচনেও এ আসন থেকেই দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন মোদি। তখন ৪,৭৯,৫০৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী শালিনী যাদবকে। মোদি পেয়েছিলেন ৬৩ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট, শালিনী যাদব পেয়েছিলেন ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই, তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
এবার লোকসভা নির্বাচন মোট ৫৪৩ আসনে ভোট হচ্ছে সাত ধাপে। প্রথম চার ধাপে ভোটের মধ্যে ৩৭৯ আসনে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে আরও তিন ধাপ। পঞ্চম দফার ভোট আগামী ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন।