মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ, টেকনাফ প্রতিনিধি : মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে এবার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফের পৌরসভা, সাবরাং-শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা।গেল বুধবার রাত থেকে আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়া এলাকার বাসিন্দা নাফ নদী লাগোয়া বসবাসরত আব্দুল খালেদ এর স্ত্রী সমজিদা আক্তার ‘যায়যায়দিন’কে বলেন- সোমবার সন্ধ্যা থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে ঘুমাতে পাড়িনি মনে হচ্ছে যেন আমাদের বাড়ির দেওয়ালে পড়ছে। গুলি-মর্টার শেলের শব্দেবাচ্চারাও ভয় আতংকে রয়েছে।সাবরাং শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আবদুস সালাম বলেন,মিয়ানমার অংশ থেকে অবিরাম গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যেন কোনো লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরা সর্তক অবস্থানে বয়েছি।টেকনাফ পৌর সভার জালিয়া পাড়া বাসিন্দা আরাফাত সানি বলেন- মিয়ানমারের ওপারে থেকে থেমে মর্টার ও গুলির শব্দ শোনা যায়। বর্তমানে এই সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ পৌরসভায় বসবাসরত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।শাহপরীর দ্বীপের ইসমত দোহা বলেন, সীমান্তে মিয়ানমারে গোলার শব্দের, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি আমরা শাহপরীরদ্বীপ বাসী। গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আমরা এবং দ্বীপবাসী আতংকে রয়েছি।দ্বীপের জেলে নুরুল আমিন বলেন,বেলা ১১টার দিকে নৌকা ঘাটে যাই। ওই সময় গোলাগুলির শব্দ শুনি। এর আগে কখনও সীমান্ত থেকে এভাবে গুলির শব্দ শোনা যায়নি।এদিকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও ভোর থেকে মর্টার ও গুলির শব্দ শুনেছেন। অনেকে প্রথমবার গুলির শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যান।দ্বীপের বাসিন্দা ইমরুল কায়েস বলেন,এই প্রথমবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলির শব্দ নিজে শুনলাম। অনেক ভারি শব্দ। দ্বীপের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।এসব বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,আবার হঠাৎ করে মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তে মর্টার ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।এদিকে মিয়ানমারের মংডু এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম মোবাইলে প্রতিবেদককে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মংডু এলাকার হাইদ্যা পাড়া বিজিপির ক্যাম্পের দিকে ব্যাপক গুলাগুলি চলছে তবে বিজিপি’র সদস্যরা আরকার আর্মিকে মধ্যে গোলাগুলি চলছে বলে ধারণা করা করছি।অপরদিকে, মিয়ানমারের চলাচল সংঘাতে প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে আশ্রয় দেওয়া ৩৩০ জন নাগরিক আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিগার্ড থেকে মিয়ানমারে হাজারে হস্তান্তর করা হয়েছে।