নিউজ ডেস্ক::::: সব সংশয় কেটেছে, অবশেষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৪। এরই মধ্যে একাডেমির প্রাঙ্গণ ও উদ্যানে জোরেশোরে চলছে মঞ্চ ও স্টল নির্মাণের কাজ। একই সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে আছে বাড়তি নিরাপত্তা এবং নজরদারিও। কারণ, ১ ফেব্রুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, মূল মঞ্চের কাজের সঙ্গে জোরেশোরে চলছে স্টল নির্মাণের কাজ। একাডেমি প্রদত্ত নির্দিষ্ট ম্যাপ মেনে স্টল নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তথ্যকেন্দ্র, বইমেলার মিডিয়া সেন্টার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ জোরেশোরে চলছে।
জানা গেছে, গত বছর নানা সমালোচনায় পড়ে এবার বইমেলা সম্পন্ন করতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলা একাডেমি। এবছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে কাঠামোসহ মেলার সব কাজ সম্পন্ন করা হলেও এবার পুরো মেলার কাজ বাংলা একাডেমি একাই সম্পন্ন করবে।
এবার ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনতে নতুন করে চিঠি দিয়েছে বাংলা একাডেমি। এবার মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত।
বইয়ের দাম নিয়ে তিনি জানান, কাগজের দাম না বাড়ায় এ বছর বইয়ের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও তেমন একটা ভালো না। বই তো অপরিহার্য কোনো জিনিস না যে কিনতেই হবে, এক্ষেত্রে যাদের হাতে টাকা থাকবে তারাই কিনবে। তবে মেলা শুরু হলে জানা যাবে পাঠকরা আসলে কীভাবে দেখেন।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, গত মেলায় যেসব অভিযোগ ছিল এবার থাকবে না। প্রকাশনী নিয়েও অস্থিরতা নেই। গত মার্চ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। এবার আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, বিগত বছরের মত এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। যা আজ অমর একুশে বইমেলায় পরিণত হয়েছে।