আশিকুর রহমান(স্টাফ রিপোর্টার):নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের রাস্তার দুপাশ প্রশস্ত করার জন্য কেটে ফেলা হয়েছে ২০০ গাছ। গাছ কাটার জন্য বনবিভাগের অনুমতিও নেওয়া হয়নি। চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশ এ গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, করাত দিয়ে আরো কিছু গাছ কাটছেন শ্রমিকরা। আর কেটে ফেলা গাছগুলো টুকরো করে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। কেটে ফেলা অনেক গাছ ইতোমধ্যে বিক্রিও করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রাকে করে সেগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে অন্যত্রে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে গাছ কেটে অধিকাংশ বিক্রি করে ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি চক্র গাছ কেনাবেচায় কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে।এবিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন মিতুল তার মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তার পাশে গাছগুলো গ্রামবাসীর। রাস্তার দু’পাশ প্রশস্ত করার প্রয়োজন। তাই আমি গ্রামবাসীকে বলেছি গাছগুলো কাটার জন্য। গাছ কাটতে বনবিভাগ বা ইউএনওর আদেশ লাগে কি’না তা আমার জানা নাই।
উপজেলা বনবিভাগের কর্মকতা বলেন, গাছ কাটতে বনবিভাগের অনুমতি নিতে হয়। আর চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বাহেরচরের রাস্তার পাশে লাগানো গাছ কাটা হয়েছে তা আমার জানা নাই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারা বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া কিভাবে এতগুলো গাছ কাটলো? তা খতিয়ে দেখার দরকার। গাছ কাটতে হলো অবশ্যই বনবিভাগের অনুমতি নিতে হবে।উপজেলা প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। আমি যতটুকু জানি গাছগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন।
ওই এলাকার রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় প্রায় ২০০ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব গাছগুলো অনেক বছর আগে লাগানো হয়েছিল।বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইন অনুযায়ী, নিজের বাগানের গাছ কাটতে সরকারের অনুমতি লাগবে।বিধিমালায় আছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা সরকারি জমি থেকে গাছ কাটার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। এরপর তদন্ত করে গাছ টাকার যৌক্তিকতা পাওয়া গেলে গাছের দরদাম নির্ধারণ ও পরবর্তীতে আরও গাছ লাগানোর শর্তে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া বনবিভাগের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ায় জেলা কারাগারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন মারা গেছেন। তিনি সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । শহিদুল ইসলাম রতন শহরের গোদারপাড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, শহিদুল ইসলাম রতন আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা ছিল। সম্প্রতি কারাগারের মেডিকেল ওয়ার্ডে রাখা ছিল তাকে। গতকাল বিকেলেও তাকে নেবুলাইজার দেয়া হয়েছিল। পরে রাতে ২ টার দিকে মারা যান তিনি।