প্রণব কুমার সাহা(মাদারীপুর প্রতিনিধি):মাদারীপুরের শিবচরে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করণের কার্যক্রম উদ্বোধন ও অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে সোমবার দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় । মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আহমদ খান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন ও অবহিত করণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনোকলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোছা: সেলিনা আকতার।
উদ্বোধন ও অবহিত করণ সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সগণ, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান তার বক্তব্যে বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রমের সফলতার বিএসএমএমইউ এর অধীনে চলমান প্রকল্পে সর্বাত্মক সহোযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। চিফ হুইপ মহোদয়ের যে ভীষণ শিবচরকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার নগরী হিসেবে তৈরি করে পুরো বাংলাদেশে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কার্যক্রমে একাত্বতা পোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছে তার জন্য সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতসহ কৃষি বিপ্লব ও শিল্প বিপ্লবে সকলকে অংশীদার হওয়ার জন্য বলেন। সর্বোপরি শিবচরের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে কোন উন্নয়নে চিফ হুইপ মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহিলারা সবচেয়ে বেশি জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সার সনাক্ত করা গেলে এবং সময়মত উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বাঁচানো সম্ভব। তদুপরি জরায়ু-মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের কম মেয়েদেরকে ইপিআই টিকা কার্যক্রমের সাথে ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। সকলের সচেতনতা ও সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।