উন্নয়নের ছোঁয়ায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভা।

উন্নয়নের ছোঁয়ায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভা।
সুরুজ তালুকদার(বাকেরগঞ্জ): উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার চিত্র। সেইসঙ্গে বদলে গেছে পৌরবাসীর জীবনমান। রাস্তাঘাট পাকাকরণ-ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়াও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এ পৌরসভায়। উন্নয়নের সুফল অনেক আগে থেকেই ভোগ করতে শুরু করেছে পৌরবাসী। সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারণে এমন উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করছেন পৌরবাসী।বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের নিচ থেকে সদর রোডের এই সংযোগ সড়কটি আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে যাচ্ছে।পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারাবো পৌরবাসী নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ছিল। এখন বদলে গেছে বাকেরগঞ্জপৌরসভার চিত্র। বাকেরগঞ্জপৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখানকার নাগরিকরা এখন পাচ্ছেন নাগরিক সুবিধা। এখন  চলমান কাজ রয়েছে অনেক । বর্তমানে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তাতেই খুশি পৌরবাসী। নাগরিকরা বলছেন, বর্তমান মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার প্রয়াসে বিরাট এ পরিবর্তন এসেছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভায়।
সরেজমিনে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌরসভাকে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশসহ ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বাকেরগঞ্জে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া।তিনি মেয়র হওয়ার  পরই পৌরসভার উন্নয়নে কাজে হাত দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দাতা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। নগদ অর্থ, গৃহ নির্মাণের ঢেউটিন, শীতবস্ত্র, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার তহবিলের মাধ্যমে নারীদের আর্থিক সহায়তা, পুষ্টিকর খাবারসহ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পৌর এলাকার শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাজেটের আগেই পৌর এলাকার জনগণের চাহিদা ও মতামত গ্রহণসহ উন্মুক্ত বাজেট গ্রহণ করা হচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় অবহেলিত বাকেরগঞ্জ পৌরসভার চিত্র পাল্টে গেছে।
সূত্র জানায়, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার সেই জনপ্রিয়তা এখনো রয়েছে। এটি তার নেতৃত্বের বড় সফলতা। এরপর তিনি মাদক, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় পৌরসভা গড়তে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটে বেড়ান। নিয়ে আসেন একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প। পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। এখন  পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাচ্ছে।লোকমান হোসেন ডাকুয়ার পূর্ববর্তী মেয়ররা যে উন্নয়ন কাজ করতে পারেননি, তা তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন। পৌরসভায় কোনো তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র ছিলো না, বর্তমানে তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নতুন তৃতীয়তলা পৌর ভবন নির্মাণসহ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্করণ হচ্ছে। খাল খনন, ড্রেন নির্মাণ, সড়কে বাতি স্থাপন করেছেন। পৌরসভা আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মহিলাদের সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রশিক্ষণ ও মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সব ধরনের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ, শিশু ও নারী নির্যাতন হ্রাস পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয়তা। মশক নিধন অব্যাহত রয়েছে। বাকেরগঞ্জ পৌরসভাকে ই-সেবার আওতায় নিয়ে এসেছেন লোকমান হোসেন ডাকুয়া।বাজেট বাস্তবায়নে লোকমান হোসেন ডাকুয়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন নিয়মিত।  তিনি জনকল্যাণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর প্রশংসা পেয়েছেন। লোকমান হোসেন ডাকুয়া নির্বাচনের আগে জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার দ্বিগুণেরও বেশি কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। পৌরসভা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::