নিউজ ডেস্ক: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আবারও উত্তপ্ত হতে যাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। বুধবার রাজধানীতে সমাবেশের মাধ্যমে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। একই দিন ঢাকায় শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নিজেদের শক্তির জানান দিতে সেদিন রাজপথে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দলটি।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে গত রোববার। কিন্তু গতকাল সোমবার সমাবেশের স্থান পরিবর্তনের কথা জানায় দলটি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বেলা ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ হবে। সেখানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে। সেখানে থানা, ওয়ার্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বুধবার সর্বোচ্চসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১২ জুলাইয়ের শান্তি সমাবেশ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এদিন দেড় লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে গুলিস্তান-নবাবপুর, দৈনিক বাংলা মোড়, মুক্তাঙ্গন-জাতীয় প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকা শুধু আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে।’আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘বিরোধীরা বিদেশিদের কাছেআমাদের নামে নানান অভিযোগ করছে। দেশে এখন ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধিদল (আজ আসবে) অবস্থান করছে। দেশের জনগণ যে আমাদের সঙ্গে আছে, সেটা বুধবার শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ দেব।’