কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মতির মার্কশিট বাণিজ্য

কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মতির মার্কশিট বাণিজ্য
সুরুজ তালুকদার (বাকেরগঞ্জ): কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মতির বিরুদ্ধে মার্কশিট বানিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মার্কশিট বাবদ এক হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে সরেজমিনে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি কলেজের অধ্যক্ষ জোরপূর্বক ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মার্কশিট বাবদ এক হাজার টাকা নিচ্চে। ছাত্র ছাত্রীরা সমাচার’কে বলেন তাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশী অর্থ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বললে উনি জানায় কলেজের ফাইল ক্যাবিনেট বানানোর জন্য এই টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আরো বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ,ডিসি(শিক্ষা) মনদ্বীপ ঘরাই ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের দাবি ফাইল ক্যাবিনেট বানানোর টাকা তাদের মার্কশিট বাবদ কেনো নেওয়া হবে।এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কলেজের অধ্যক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। ছাত্র ছাত্রীরা দৈনিক সমাচার’কে আরো জানায় এর আগেও এইচএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড  বাবদ দুই শতকের অধিক শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও ওয়াইফাই বিল বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।ভিবিন্ন সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভিবিন্ন উপলক্ষে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এই বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন সরদার (ইসলাম শিক্ষা), কে জিজ্ঞেস করলে সে এসব ব্যাপারে জানে না বলে এডিয়ে চলে যান।আরেকজন সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম (ইসলাম শিক্ষা)এর কাছে জানতে চাইলে সে কোন কথা না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা দাবি করেন কলসকাঠির স্বনামধন্য এই ডিগ্রি কলেজে কর্তৃপক্ষের এই রকম বাণিজ্য চলার কারনে কলেজটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।অতিশীঘ্রই তারা এইসব বাণিজ্য থেকে কলেজটিকে মুক্ত দেখতে চায়।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদ্বীপ ঘরাইকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন অভিযোগগুলো লিখে রাখলাম তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  সজল চন্দ্র শীলের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমার কাছে অভিযোগ আসলে,এই ব্যাপারে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এবং সে আরো বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের অনিয়ম এবং দূর্নীতির অভিযোগ আসলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::