আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীতপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান বলেছেন, আমার গ্রেপ্তারের নেপথ্যে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির।শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ইমরান খান এ কথা জানান।শনিবার (১৩ মে) ডন এ খবর প্রকাশ করেছে।গত মঙ্গলবার (৯ মে) আদালত থেকে ইমরান খানকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করার পর দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।ইমরান খানের বড় স্বস্তিদায়ক, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট শুক্রবার (১২ মে) তাকে একটি দুর্নীতির মামলায় দুই সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়েছেন। এছাড়া সোমবার (১৫ মে) পর্যন্ত দেশের কোথাও নথিভুক্ত কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আদালতে বিরতির সময় বিবিসি প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান খান বলেছিলেন, এটি নিরাপত্তা সংস্থার কাজ নয়, আমাকে গ্রেপ্তারের নেপথ্যে রয়েছেন একজন ব্যক্তি। তিনি হলেন সেনাপ্রধান৷নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তার বিরুদ্ধে যেখানে বিচার বিভাগ তার পক্ষে ছিল এমন ধারণা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ জবাব দেন।তিনি আরও বলেন, যা ঘটছে তাতে সেনাবাহিনী অপমানিত হচ্ছে।ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, সেনাপ্রধান খুবই চিন্তিত, যদি আমি ফের ক্ষমতায় চলে আসি। সবকিছু তারই (সেনাপ্রধান) নির্দেশে হচ্ছে।সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগে বলেন, সরকার আমার দলের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। গত এক বছরে আমার দলের ৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া আমাকে হত্যা করার জন্য দুইবার চেষ্টা চালানো হয়েছে। বিষয়টির আমি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।গত মঙ্গলবার (৯ মে) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হন। বুধবার (১০ মে) আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তোশাখানা মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।ইমরানের গ্রেপ্তার ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পাকিস্তান। ইমরানের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সেনানিবাসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালান তারা। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি লোক গ্রেপ্তার হন, প্রাণ হারান আটজন।আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দুই সপ্তাহের জামিন পান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। শুক্রবার (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।