টেকনাফ প্রতিনিধি : দীঘ সাড়ে নয় মাস পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় ৬৭১জন পর্যটক নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃপক্ষের জাহাজঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনে গেছে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ। জাহাজ দুটি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিরাপদে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছান।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মো কামরুজ্জামান ও পর্যটকবাহী জাহাজের ব্যবস্থাপক তোফায়েল আহমদ।
সাগর উত্তাল হওয়ার পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে গতবছরের ৩১মার্চ থেকে টেকনাফ-সেন্ট মাটিন, সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্ট মাটিন-চট্টগ্রাম তিনটি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ওই সময় এ তিনটি নৌপথে ১২টি জাহাজ চলাচল করেছিল। একই বছরের গত ২৯সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে আয়োজিত এক সেমিনারে পর্যটনসচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌপথে নাফ নদীর নাব্যতা সংকট ও একাধিক বালুচর জেগে ওঠার কথা বলে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত বুধবার অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নাফ নদী দিয়ে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের বিষয়ে কক্সবাজারে আবার সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি প্রদানের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই আজ পরীক্ষামূলক ভাবে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজকে অনুমতি দেওয়া হয়।
ইউএনও মো কামরুজ্জামান বলেন, কিছুটা বিলম্ব হলেও চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই আজ শুক্রবার সকালে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি জাহাজে করে ৬৭১জন পর্যটক সেন্ট মার্টিনে গেছেন। জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন না করার পাশাপাশি জাহাজে অগ্নিনিবাপক যন্ত্র,পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেটসহ পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য জাহাজ দুটি পরিদশন করা হয়। এ নৌপথে আরও কয়েকটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।