নির্দেশনা থেকে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৬ জন সহাকারি প্রিজাইডিং অফিসার, ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষ থেকে), গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা; মোট ১৩৬ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।১৯ অক্টোবর উপজেলা সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ৪০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রজিাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পেলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা; মোট ৫২২ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া ২০ অক্টোবর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাবের কমান্ডিং অফিসার দুইজন, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসক; এই মোট ২৭ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও শুনানির প্রথম দুই দিন স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মিডিয়া ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটির কার্যপরিধি:
(ক) পোলিং এজেন্ট বা ভোটার ছাড়া অন্যান্য ব্যক্তিদের গোপনকক্ষে প্রবেশ, গোপনকক্ষে ভোটদান প্রত্যক্ষকরণ, ভোটারদের কোনো প্রার্থীকে ভোটদানে বাধ্যকরণ বা প্রভাবিতকরণ, মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে গোপনকক্ষের ছবি ধারণ ইত্যাদির বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও দোষী/দায়ী ব্যক্তি চিহ্নিতকরণ;
(খ) দলীয় প্রতীক বা একই রংয়ের পোশাক পরিধান করে কোনো পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালন অথবা উক্তরূপ পোলিং এজেন্ট বা একইরূপ পোশাক পরিহিত ব্যক্তিরা বিক্ষিপ্তভাবে ভোটকক্ষে বিচরণ, কোনো ক্ষেত্রে গোপনকক্ষে প্রবেশ, উল্লিখিত পোশাক উপঢৌকন বা অর্থের বিনিময়ে নেওয়া কিনা ইত্যাদি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ;
(গ) পোলিং এজেন্ট বা অবৈধ কোন ব্যক্তি গোপন কক্ষে প্রবেশ করে নিজেই ভোটপ্রদান, ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন তা গোপন কক্ষে উঁকি দিয়ে বা ঢুকে অবলোকন করা, ভোটপ্রদানে বাধা প্রদান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোটকক্ষে ঢুকে নিজেই ভোট দেওয়া বা ভোটারকে প্রভাবিত করা অথবা পোলিং এজেন্ট নয় এ ধরনের ব্যক্তি ভোটদানে ভোটারকে প্রভাবিত করার বিষয়ে দায়ী ব্যাক্তিদের সনাক্তকরণ;
(ঘ) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সব পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটলো, কারা দায়ী তা চিহ্নিত করা; এবং
(ঙ) উল্লিখিত বিষয়সহ প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো বিষয় থাকলে তা পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রদান।
এ নিয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল ইতোমধ্যে বলেছেন তার কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন বন্ধ করেছেন এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
৯১-এর বিভিন্ন উপধারাতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল দিতে পারে। অথবা ব্যাপক অনিয়মে দায়ীদের প্রার্থিতা বাতিল করে পার্শিয়াল নির্বাচন দিতে পারে। এছাড়া দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনিয়ম প্রমাণিত হলে নির্বাচন কর্মকর্তা আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা নয় মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি সংসদ সচিবালয় শূন্য ঘোষণা করলে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।