সমাচার রিপোর্ট
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস উল ইসলামের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল মঙ্গলবার। আজ বুধবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন তিনি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। প্রমোশনের দাবিতে তাকে ও ব্যাংকটির চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে। আন্দোলনকারীরা সুপার নিউমারারি প্রমোশন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। জানা গেছে, ব্যাংকটিতে কর্মরতদের মধ্যে গ্রাম ও শহরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্কের ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামে কর্মরতদের মার্ক বেশি হওয়ায় প্রমোশনের সংখ্যাও সেখানে বেশি। সে তুলনায় শহরের কর্মরতদের মার্ক তেমন নেই। মার্কের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ডিগ্রিতে যাদের চারটা ফাস্ট ক্লাস আছে তাদের। এ কারণে ২০১৮ সালের পর থেকে অনেক কর্মকর্তা প্রমোশন পাননি। আন্দোলনকারীরা জানান, একই ক্যাটাগরির কর্মকর্তা হয়েও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে প্রমোশন হয়েছে। সেখানে বঞ্চিত রয়ে গেছে অগ্রণী। আবার ফাস্ট ডিউতে অনেক কর্মকর্তাদের প্রমোশন দেওয়া হয়নি। এসব ক্ষোভ থেকেই প্রধান কার্যালয়ে এমডিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলন করা এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে প্রমোশন হলো আমাদের এখানে কেন হলো না। আমরা ২০১৮ সাল থেকেই বঞ্চিত রয়েছি। আমাদের ফাস্ট ডিউতে মেধাবী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হলো না আমরা জানতে চাই। অপর এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের পদোন্নতি দিতে হবে। সম্পন্ন যৌক্তিকভাবে আমরা আজ আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না করে যাবো না। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ কর্মদিবস ছিল মোহম্মদ মোহাম্মদ শামস উল ইসলামের। আজ বুধবার মো. মুরশেদুল কবির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।