ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ

ঈদের চতুর্থ দিনেও ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ
ঢাকা: ঈদের চতুর্থ দিনেও রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। মূলত, ঈদে যারা কর্মস্থলে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই আজকে ঢাকা ছাড়ছেন।তবে, এর বাইরেও অনেকেই আছেন যারা স্বস্তিতে যাত্রার জন্য ঈদে না গিয়ে এই সময়টাতে ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
 

বুধবার (১৩ জুলাই) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রেল ও সড়কপথের পাশাপাশি নৌ-পথেও ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরা। কমলাপুরে ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ মোটামুটি হলেও সায়েদাবাদ টার্মিনালে বেশ ভিড় দেখা গেছে যাত্রীদের।

কমলাপুর থেকে রংপুর যাচ্ছেন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মর্তুজা আলম। ঈদে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটি ছিল না। আজ থেকে ছুটি পেলাম চার দিনের। পরিবারের সঙ্গে এই সময়টা আনন্দে কাটাতে চাই। আর ঈদ তো সাত দিন থাকে।

কথা হয় আহেমদ উল্লাহ নামে কুমিল্লার এক যাত্রীর সঙ্গে। কুমিল্লাগামী এশিয়া লাইনের টিকিট কাটছিলেন তিনি। বাংলানিউজকে আহসেদ উল্লাহ বলেন, ঈদে ছুটি পাই নি। বিশেষ ডিউটি ছিল। গতকাল (১২ জুলাই) থেকে অফিসের কর্মচারীরা ফিরতে শুরু করেছেন। আজ থেকে আমার ছুটি। তাই বাড়ি যাচ্ছি। ঈদে না যেতে পারায় সবাই মন খারাপ করে আছে। বাড়িতে জানাইনি। আজ গিয়ে সারপ্রাইজ দিব।

দক্ষিণাঞ্চল অভিমূখী হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সাদমান ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের পরও মোটামুটি যাত্রী আছে। তবে, তুলনামূলক ভাড়া বেশি হওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে না গিয়ে যাত্রীরা নৌ-পথেই বেশী চলাচল করছেন।

খুলনাগামী যাত্রী তুষার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার পর এই প্রথম বাসযোগে বাড়ি যাচ্ছি। ভাড়া একটু বেশী। কিন্তু সেতুটাও দেখলাম, কম সময়েও যেতে পারলাম। তাই বাসে যাচ্ছি। ঈদে ছুটি পাইনি, তাই ঈদে যেতে পারিনি।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে কিছুটা ভিড় বেড়েছে কমলাপুর স্টেশনে। যাত্রী, কুলি, হকারদের হাঁক-ডাকে জমজমাট ছিল প্লাটফর্ম। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে সচেষ্ট আছে তারা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন