নিউজ ডেস্ক : দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষ সংগ্রামে নেমেছে, রাজপথে রক্ত ঝরছে এর মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া-মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, আপনারা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার চেষ্টা করছে। এর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে চায়। মূল বিষয়টা হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য এদেশের মানুষ সংগ্রামে নেমেছে। ইতোমধ্যে রাজপথে রক্ত ঝরছে। ইনশাআল্লাহ এর মধ্য দিয়েই এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পরে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে যে বটমলেস বাস্কেট বলা হয়েছিল সেখান থেকে সত্যিকার অর্থেই একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করার ভিত্তি রচনা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান, আজকে তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় যে গণতন্ত্রকে শহীদ জিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম লড়াই করেছিলেন, তিনি এখনও সেই গণতন্ত্রের জন্যই গৃহে অন্তরীণ হয়ে আছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী যাদের নামে মামলা। যারা গুম-খুন হয়েছেন সেই বাংলাদেশে আজকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত। বর্তমান অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নির্যাতন হত্যা, গুম-খুনের মধ্য দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করছি, নির্বাচনের দিন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন পুরনো কায়দায় একইভাবে ত্রাস সৃষ্টি করছে। ছাত্রদলের ওপরে হামলা, জেলায় জেলায় হামলা, নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা, বাড়ি ঘরে হামলা আজকে একটা ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি কোনো ভয়ভীতি আমাদেরকে দমন করতে পারবে না। আমরা সবকিছু মোকাবিলা করে এই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার যারা পাথরের মতো চেপে বসে আছে তাদেরকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবো।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আবেদ রাজা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সহ সভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।