নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির উদ্যোগ নিতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন।বৃহস্পতিবার (১২ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে এ আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ আপিল শুনানির উদ্যোগ নেয়নি কোনো পক্ষ।বৃহস্পতিবার দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দীর্ঘ দিন পরেও তাঁর (খালেদা জিয়া) আইনজীবীরা শুনানির জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এভাবে তো বছরের পর বছর লিভ টু আপিল পড়ে থাকতে পারে না। আর কিছু দিন অপেক্ষা করবো। যদি তাঁরা শুনানির উদ্যোগ না নেন তাহলে দুদকের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।এছাড়া ৫ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেছেন আদালত।হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। যেটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন।২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ওই আপিল এবং দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে সরকার আইন অনুসারে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করলে তিনি কারামুক্ত হন।