র্যাব জানায়, ওমর ফারুক টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও হত্যাকাণ্ড সংগঠনের জন্য অর্থ লেনদেনও করেন তিনি। এদিকে ২০১৬ সালে রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত চার নম্বর আসামিও তিনি। ওই মামলায় তিনি আগেও কারাভোগ করেছেন।
হত্যাকাণ্ডে কার কী অংশ?
নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির হত্যাকাণ্ডের সময় টিপুকে নজরদারির কাজ করেন। এই হত্যার জন্য অর্থ দিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলের কাছেই তাকে সাদা শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও কেডস/জুতা পরা অবস্থায় দেখা যায়। যা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। ঘটনার পরে তিনি তার মোবাইল ফোন বিক্রি করে দেন। তার ব্যবহৃত সিমকার্ডও ভেঙে ফেলেন।র্যাব তাকে গ্রেফতার করার পর মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করেন। এছাড়া ঘটনার আগের দিন তিনি সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একদিন অবস্থান করেছিলেন। তিনি রিজভী হাসান বাবু হত্যাকাণ্ডের এক নম্বর চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে অস্ত্র আইনে পল্লবী থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ঘটনার দিন টিপুকে নজরদারি ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমন্বয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন।এর আগে তিনি মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন। আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ ঘটনার পরিকল্পনা ও অর্থ যোগানের সঙ্গে জড়িত। তিনি রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের দুই নম্বর চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছেন।