ঢাকা: রাজধানীর বনানী থেকে মহাখালী হয়ে বিজয় সরণি পর্যন্ত সড়কে রয়েছে যানবাহনের ভারি চাপ। এছাড়াও নগরীর বিমানবন্দর থেকে উত্তরামুখী সড়কের এক পাশে, এদিকে ফার্মগেট মোড় থেকে কারওয়ানবাজার হয়ে বাংলামোটর, সাতরাস্তা হয়ে মগবাজার সব বিভিন্ন সড়কেই তীব্র যানজট থাকতে দেখা গেছে।বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের জটলা ও ট্রাফিক সিগন্যালে থেকে পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগ, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এক যোগে সড়ক নির্মাণ, মেট্রোরেল ও বাস র্যাপিড ট্রানজিটের কাজ চলছে। এজন্য যানবাহন চলাচলে খুব ধীরগতিতে চলছে। এছাড়াও সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে। তবে, সেই অনুযায়ী সড়ক ব্যবস্থা নেই। বাসগুলো সড়কের মধ্যে থেমেই যাত্রী ওঠা-নামা করায়। এ কারণে পেছনে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলেরের চাপ অনেক। বুধবার রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের মুখে ভুইয়া পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ফ্লাইওভারের গোড়ায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী তুলতে ব্যস্ত ছিল বাসটির চালক-হেলপার। এদিকে পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যায়। তবে এ সময় সেখানে কোনো ট্রাফিক পুলিশের সদস্য থাকতে দেখা যায়নি। যদিও ফ্লাইওভার সম্পূর্ণ খালি থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে ও বিজয় সরনি মোড়ে ভারি সিগন্যাল থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলচালক আরেফিন বলেন, উত্তরা থেকে কারওয়ানবাজার আসতে অনেক সময় লাগে। উত্তরা হাউজবিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রতিদিনই যানজটে পড়তে হয়। কারণ সেখানে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। আর প্রচণ্ড ধূলা। এছাড়াও কাউলা পার হয়ে খিলক্ষেত যানজটে পড়তে হয়। কারণ সেখানে গণপরিবহনগুলো সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেই যাত্রী তোলে। এরপর কিছু দূর গিয়ে বনানী ফ্লাইওভার থেকে কাকলী পর্যন্ত ভারি যানজটে পড়তে হয়। এই যানজট প্রতিদিনই থাকে। এরপর বনানী মোড় থেকে মহাখালি পর্যন্ত যানজট ও ট্রাফিক সিগন্যাল লেগেই থাকে। আর কারওয়ানবাজারে নিত্যদিনের যানজট।প্রতিদিনই যানজটের মধ্য দিয়ে ভোগান্তি সহ্য করে আসতে হয় কারওয়ানবাজারে- যোগ করেন তিনি।