স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা এবং প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১০০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে আমদানিকৃত অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল স্থানীয় মিলে পরিশোধিত হয়ে বাজারে প্রবেশ করলে প্রতি লিটার সয়াবিন ও পাম তেলের দাম আরও বাড়বে। ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় ভোজ্য তেলের বর্তমান দাম অস্বাভাবিক বলে প্রতীয়মান।
অপরিশোধিত তেলের বর্তমান মূল্য বিবেচনায় গত ৬ মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সে হিসেবে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল এবং পামওলিন আমদানির শুল্কায়নযোগ্য দামের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলেও এ খাতে সরকারের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা নেই। সেই সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় এ পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় গতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমানে আরোপিত উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট থেকে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। তাই অত্যাবশ্যকীয় ভোজ্য তেলের বাজার মূল্য এবং সরবরাহ লাইন স্থিতিশীল করার জন্য অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নুরুল হকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২০১১ সালের উদাহরণ টেনে বলা হয়, এর আগেও সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। তখন স্থানীয় বাজারে পরিশোধিত ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। সে সময় সরকার জন সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতা বিবেচনায় এনে আমদানি পর্যায়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল এবং পামওলিন আমদানিতে শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের ৬৭.৬৭ শতাংশের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রেখে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য এক-তৃতীয়াংশ কমায়। ফলে ভ্যাটের হারও এক তৃতীয়াংশ কমে। পরবর্তীতে সময়ে সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ওই আদেশের মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ফলে সাধারণ ভোক্তারা এর সুফল পায়।