আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোলের একটি মসজিদে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ওপর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ৮০ জনের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।আশ্রয় নেওয়া ৮৬ জনের সবাই ছিল তুর্কি নাগরিক। দূতাবাসের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেনে অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস জানায়, ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছি মোট ৮৬ জন তুর্কি নাগরিক। তাদের মধ্যে ৩৪ জন শিশু। গোলাবর্ষণের পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানায়, মারিওপোলে সুলতান সুলেমান এবং তার স্ত্রী হুররাম সুলতানের নামে নির্মিত জাঁকজমকপূর্ণ ওই মসজিদটি রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ লাখ মানুষের বসবাস মারিওপোলে। বেশ কয়েকদিন ধরে এ শহর অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। শহরটিতে এ পর্যন্ত হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার হামলার কারণে সেখান থেকে বেসামরিক লোকজন অন্য জায়গায় সরেও যেতে পারছেন না। এরই মধ্যে অবরুদ্ধ এ শহরে রাশিয়ার চালানো ধ্বংসযজ্ঞের ছবি সামনে এসেছে।দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিওপোল দখলে নেওয়ার পর ১২ দিনে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে অন্তত ১ হাজার ৫৮২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সিটি কাউন্সিল শুক্রবার একটি অনলাইন বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তবে দ্য গার্ডিয়ান হতাহতের পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি।মারিওপোলে এখন বিদ্যুৎ ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন। সেখানকার মানুষরা খাদ্য ও পানির সংকটে রয়েছেন। এর মধ্যে সেখানে একাধিকবার ‘মানবিক করিডর’ চালু করার চেষ্টা করেও ইউক্রেন প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। দেশটির রাজধানী কিয়েভ ও গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। সেখানে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।