আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে বেসামরিক লোকজনও অংশ নেয়ায় এটা এখন জনযুদ্ধে রূপ নিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ মার্চ) ইউক্রেনের চার শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের মধ্যে ‘মানবিক করিডর’ দিতেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল ও সুমি শহরে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা থেকে এটা কার্যকর হবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধ এবং চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ‘মানবিক করিডর’ খোলা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতির সময় শহরগুলোতে কোনো ধরনের গোলাবর্ষণ করবে না বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিরতি চলার সময় ওই চার শহরে আটকে থাকা বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে পারবে কিয়েভ। একই সঙ্গে তাদের কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।এর আগে যুদ্ধের অষ্টম দিন ৩ মার্চ যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে দ্বিতীয় দফায় ‘শান্তি আলোচনায়’ বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনায় কিয়েভ আশানুরূপ ফল পায়নি। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা তাদের কাছে সহায়তা পাঠাতে ‘মানবিক করিডর’ দিতে সম্মত হয় রাশিয়া। ওই সিদ্ধান্তের পরই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে রুশ সেনারা। তবে ইউক্রেন অভিযোগ তুলেছে, মানবিক করিডরের অনুমতি দিয়েও রুশ সেনারা এর আগে একাধিক জায়গায় গোলাবর্ষণ করেছে। বেসামরিক লোকদের সেখান সরিয়ে নিতে বাঁধা দিয়েছে। তবে রাশিয়া সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।