আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। বেসামরিক লোকজন যেন নিরাপদে সরে যেতে পারে, সেজন্যই তারা এমন ঘোষণা দেয়।তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মারিওপোল শহরে রুশ সেনারা গোলাবর্ষণ করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শহরটির ডেপুটি মেয়র বিবিসিকে জানিয়েছেন, মারিওপোলের ওপর এখনো রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে।তারা বলছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও রুশ পক্ষ তা পালন করছে না। তাই বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, শহরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে এবং নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে। কেননা বেসামরিক লোকজনকে যে পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তার শেষভাগে এখনো লড়াই চলছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।রাশিয়ার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর মারিওপোল শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রুশ সেনাদের হামলার কারণে সেই কাজ বন্ধ করতে হয়েছে।মারিওপোলের পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শহর থেকে বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।এর আগে ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় বাসে করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী সাত ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, মানবিক করিডরের রুট হচ্ছে মারিওপোল থেকে জাপোরিঝিয়া। শহরের তিনটি এলাকা থেকে বাস ছাড়বে। তবে নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ করে ব্যক্তিগত গাড়ির মাধ্যমেও বাসিন্দারা শহর ছাড়তে পারবে।বাস চালকদের গাড়ির পুরো জায়গা বাসিন্দাদের বহনে ব্যবহার করার অনুরোধ জানায় শহর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া রুটের বাইরে চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে সতর্ক করা হয়েছে। তবে রুশ হামলা অব্যাহত থাকায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল বেশ কয়েকদিন ধরে রুশ বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে খাবার ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট দেখা গেছে।ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ সেনারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শনিবার (৫ মার্চ) দশম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। তাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বহু বেসামরিক মানুষ। এরই মধ্যে দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।