আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এরইমধ্যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভসহ বেশ কয়েকটি শহর দলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। আর রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেছে ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সেনাবহর। খারকিভ দখলে নিলেও এখনও সেখানে যুদ্ধ চলছে।
রাশিয়া যত প্রতিরোধের মুখে পড়ছে, ততই শক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।রাশিয়া যে কোনো স্থানে যদি ১০০ কিলোটন ওজনের একটি পরমাণু বোমা ফাটায় তাহলে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে। আর এর প্রভাব হতে পারে আরও অনেক ভয়াবহ।
পরমাণু বোমার প্রথম এয়ার ব্লাস্ট হলে প্রচণ্ডভাবে কেঁপে উঠবে কয়েক বর্গ কিলোমিটার। ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে অন্তত ১০ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে। ওই এলাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবে।
দ্বিতীয় ব্লাস্টের প্রভাবে প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়িসহ সব স্থাপনা ভেঙে পড়বে। ৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে থার্মাল রেডিয়েশন। এর মধ্যে থাকা সব মানুষ তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবেন। ১০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্তও বোমার প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকা যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল, তার শক্তি ছিল প্রায় ১২-১৫ কিলোটন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। ওই বোমার আঘাতে প্রায় পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৪ হাজার মানুষের।