কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সবার কাছে দোয়া চাই, আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, সঠিক ভাবে, দক্ষতার ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে, শপথের অনুগত থেকে আমরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ, মানুষের জীবনটাও কিন্তু চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোন চ্যালেঞ্জকে ভয় পেলে চলবে না। চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সেটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক বা জাতীয় নির্বাচন হোক। আমরা এই চ্যালেঞ্জ এখনও বুঝে উঠিনি। দায়িত্ব নিলে পরে আমরা চারদিকে তাকিয়ে বুঝব আসলে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না। সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলব, কর্মপদ্ধতি গড়ে তুলব এবং আমাদের কৌশল নিরূপণ করব।
শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ইসি নির্বাচন করে না। এটা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে অনেকে জড়িত। সবাই যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়; আমাদের ওপর একটা প্রিন্সিপাল দায়িত্ব আছে, সহযোগিতাগুলো আদায় করে নেওয়া। আমরা আশাবাদী, অত্যন্ত আশাবাদী। আমি যে সহকর্মীদের পেয়েছি, ওনাদের ওপর আমার আস্থা আছে। আশা করি আমার ওপরও ওনাদের আস্থা আছে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ প্রয়াস দেওয়ার চেষ্টা করবে। বাকিটা আল্লাহ পাক জানেন।
নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আপনারা কী করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নতুন সিইসি বলেন, এসব বিষয়ে এখন আমি বেশি কিছু বলবে না। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আমি অনেক কিছু বলেছি। নতুন করে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
তিনি বলেন, এরপর আমরা যা কিছু বলবে সমন্বিত ভাবে, আমার যে সহকর্মীরা আছেন তাদের সঙ্গে বসে ঐক্যমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তখন আমরা আরও নির্ভরযোগ্য ভাবে কথা বলতে পারব।
সিইসি আরও বলেন, আমাদের ওপর দায়িত্ব আরোপিত হয়ে গেছে। তবে এখনও আমরা বাস্তব দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। সোমবার আমারা কার্যস্থলে যাব। তারপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব, ভাবের আদান-প্রদান করব। সংবিধান ও আইনে আমাদের ওপর কী কী দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ দায়িত্ব কীভাবে পালন করব, সেটা ঠিক এ মুহূর্তে বলতে পারব না। আগামীতে আমরা আরেকটু লেখাপড়া করে, জেনে তারপর আপনাদের বলতে পারব।