৭ বছরে বিএনপির  আয়-ব্যয় তিনগুণের বেশি 

৭ বছরে বিএনপির  আয়-ব্যয় তিনগুণের বেশি 

ঢাকা: টানা তিনবার আয় বাড়ার পর এবার উল্টোপথে বিএনপি। এক পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের চেয়ে ব্যয় হয়েছে তিনগুণের বেশি।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া বিএনপির ২০১৯ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত পঞ্জিকা বছরে বিএনপির আয় হয়েছে ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭১০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৭ টাকা। আয়-ব্যয়ের পার্থক্য হচ্ছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৭ টাকা। অর্থাৎ আয়ে তিনগুণেরও বেশি ব্যয় হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন।

দলগুলো মনোনয়ন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন অনুদান থেকে আয় করে। আর অফিসের বিভিন্ন খরচ, নির্বাচনী ব্যয়, ত্রাণ কার্যক্রম, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন প্রভৃতি খাতে ব্যয় করে। বিএনপির কর্মচারীদের বেতন-বোনাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে। ৭৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে এ খাতে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা যায়, ২০১৮ বছরে দলটির আয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা।  তখন দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত ছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।

এ হিসাবে বিএনপির তহবিল এবার কমে গেছে দেড় কোটি টাকার বেশি।

২০১৭ সালে দলটি মোট আয় দেখিয়েছিল ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। আর মোট ব্যয় দেখিয়েছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।

২০১৬ সালে দলটি আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা।

এর আগের তিন বছর দলটি ঘাটতিতে ছিল। ২০১৫ পঞ্জিকা বছরে বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি দেখিয়েছিল। ওই সময় দলটি আয় দেখিয়েছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।

২০১৪ পঞ্জিকা বছরে দলটি বিভিন্ন খাতে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখিয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।

২০১৩ পঞ্জিকা বছরে দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিলো। সে সময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সীতাকুণ্ড উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান রাজু আটক

শ্রমিক নেতা থেকে গুন্ডা বাহিনীর প্রধান হয়েছে শাজাহান খান: আব্দুল মোনায়েম মুন্না