রাঙামাটি প্রতিনিধি : সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৬টি ইউনিয়নের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চারটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২টিতে বিজয়ী হয়েছেন।সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) তিনটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে খেদারমারা ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্টু চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মারিশ্যা ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আপন চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বাঘাইছড়ি ইউপিতে ক্ষমতাসীস দল আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী অলিভ চাকমা নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।রূপকারী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জ্যাসমিন চাকমা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। বঙ্গলতলী ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্ঞান জ্যোতি চাকমা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সাজেক ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অতুলাল চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আমতলী ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সারোয়াতলী ইউপির ফলাফল পাওয়া যায়নি।লংগদু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে লংগদু ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কুলিনমিত্র চাকমা আদু বিজয়ী হয়েছেন। মাইনী ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন কমল বিজয়ী হয়েছেন। ভাসান্যাদাম ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হযরত আলী বিজয়ী হয়েছেন। কালাপাকুজ্যা ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বারেক দেওয়ান বিজয়ী হয়েছেন। গুলশাখালীতে ইউপিতে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের শফিকুল ইসলাম, বগাচত্ত্বর ইউপিতে আ.লীগের আবুল বশর, আটারকছড়া ইউপিতে আ.লীগের অজয় মিত্র চাকমা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।জুরাছড়ি উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের মধ্যে জুরাছড়ি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমন চাকমা চশমা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং বনযোগীছড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সন্তোষ চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের মতো সপ্তম ধাপে রাঙামাটির লংগদু, বাঘাইছড়ি এবং জুরাছড়ি তিনটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি উপজেলায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৫ প্লাটুন বিজিবি, এক হাজার পুলিশ এবং তিন হাজার আনসার মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি ৬ প্লাটুন র্যাব এবং ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেছেন।