রাসিকের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, রাসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. বনি ক্লিনিকে এসেছিলেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, এই টিকা অতিরিক্ত প্রদানে শিশুটির কোনো সমস্যা হবে না।স্থানীয়রা জানান, রোবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছোটবনগ্রাম এলাকার শেখ রাসেল শিশু পার্কের পাশে আরবান ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। আসাম কলোনীর সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে টিকা দিতে নিয়ে আসেন তার মা।সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ে সুমাইয়াকে গত বছরের ২৩ জুন তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। আমরা রাজশাহীতে না থাকার কারণে সেসময় টিকা দেওয়া হয়নি। আজ শিশুটিকে নিয়ে টিকা দিতে যায় আমার স্ত্রী। সেখানে একটি টিকার পরিবর্তে ৪টি টিকা দেন তারা। অতিরিক্ত টিকা দেওয়ার কারণে আমার বাচ্চার জ্বর আসছে। ’টিকা প্রদানকারী সুপারভাইজার আজাহার আলী বলেন, তিনি কেন্দ্রে ছিলেন না। অন্য একটি কেন্দ্রে টিকা প্রদানের জন্য গিয়েছিলেন। এটি ভুলবশত: এক স্বাস্থ্যকর্মী রেজিস্ট্রার খাতা ও ট্যাব না দেখে বাচ্চাটিকে টিকা প্রদান করেছেন।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, এই বাড়তি টিকা প্রয়োগের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় ৪ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।