তিনি বলেন, আমরা নির্দিষ্ট তারিখেই পাইলটিং চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি ১ ডিসেম্বর তারিখটা আমরা ঠিক রাখতে পারিনি। দীর্ঘদিন ধরে গণপরিবহনে যে বিশৃঙ্খলা তা দ্রুত অবসান ঘটানো অত্যন্ত দুরূহ কাজ। তবে আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এ কাজ হাতে নিয়েছি। তাই আমরা সংকল্পবদ্ধ, এটা বাস্তবায়ন অবশ্যই করবো। বিভিন্ন কারণে এটা ১ ডিসেম্বরে চালু করা না গেলেও ডিসেম্বর মাসেই আমরা এটা চালু করবো।সভা শেষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির আরেক সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইচ্ছের কোনো ত্রুটি ছিল না। বাস মালিকরা আমাদের যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা সেই কথা রাখতে পারেননি। তাই আমরা বিআরটিসির বেশ কিছু বাস নিয়ে আগামী ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ ডিসেম্বর এ রুট চালু করবো। এছাড়া আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোনো পরিবহন আমাদের কাছে এ রুটে বাস চালানোর জন্য আবেদন করে তাহলে আমরা সেসব বাসগুলোকে নেবো।এর আগে গত ৫ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামের বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রথম ধাপ। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে এ পরিবহন। প্রায় ২১ কিলোমিটারের এ রুটে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া পড়বে দুই টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু ১৯তম সভা শেষে কমিটি ১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে এ রুটে বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রাথমিক কাজ করবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুই সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্যরা।