সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদী তীর রক্ষা বাঁধের রিভার ব্যাংক ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম (আরবিআইপি) প্রকল্প অংশের অন্তত ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ধস দেখা দিয়েছে।
এর ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন যমুনার তীরবর্তী এলাকার অন্তত ১০টি পরিবার।
ভাঙনের মুখে পড়ায় এরই মধ্যে একটি পরিবারকে স্থানান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলার ১ নম্বর সাইড ঢেকুরিয়া পয়েন্টের শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্কের ১০০ গজ উত্তরে এ ধস দেখা দিয়েছে।
ভাঙন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে ভাঙনের বিস্তৃতি রোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ নিক্ষেপের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিরাজগঞ্জ।
স্থানীয়রা জানান, ভোর রাত থেকে যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের আরবিআইপি অংশে ধস দেখা দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাঁধের অভ্যন্তরের একটি বাড়ি সম্পূর্ণ দেবে যায়। ধীরে ধীরে ভাঙনের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে।
পাউবো সিরাজগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বাঁধের নিচের অংশে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ধস দেখা দেয়। আরবিআইপির উপরিভাগের ২০ মিটার ও নিচ ভাগের ৩০ মিটারসহ মোট ৫০ মিটার এলাকায় বাঁধ ধসে গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জিওব্যাগ নিক্ষেপ করে ভাঙনরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ধসে যাওয়া অংশের সংস্কার কাজ চলছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, নদী তীর রক্ষা বাঁধের নিচের অংশে ধস দেখা দিলে তীরবর্তী বেশ কিছু পরিবার আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। কমেলা বেগম নামে একজন বিধবা নারীর ঘর এরই মধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা তাকে ঢেকুরিয়া শহীদ মনসুর আলী ইকোপার্কে স্থানান্তর করেছি। তাবু টাঙিয়ে আপাতত তার থাকার ব্যবস্থা করাসহ শুকনো খাবার ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবার ছাড়া অন্য পরিবারের আতঙ্কের কিছু নেই। এরই মধ্যে ধস রোধ করেছে পাউবো সিরাজগঞ্জ।