নিজস্ব প্রতিবেদক : পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানের চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।এ সময়ে পাইকারিতেও বেড়েছে ১০-১২ টাকা। ভারতের নাসিক পেঁয়াজের দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশি জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজের দামও। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার, সিডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন খুচরা মুদির দোকানে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির আঁচ লাগছে চীন থেকে আমদানি করা রসুন ও আদায়। প্রতিকেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা। চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। দোকানিরা জানান, সকালে খাতুনগঞ্জ থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৫৫ টাকায়। এর সঙ্গে আছে গাড়িভাড়া, পলিথিন, শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক খরচ। প্রতি বস্তায় কয়েক কেজি পচা-গলা পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়। সব মিলে ৬০ টাকা বিক্রি না করলে পোষাবে না।ভারতের রফতানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের প্রভাব নেই বলে জানিয়েছেন হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি জানান, ভারত থেকে স্থলবন্দর হয়ে সিংহভাগ আমদানির পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকে। সেখান থেকে বেপারীরা ট্রাকে করে ঢাকা, খাতুনগঞ্জসহ সারা দেশের আড়তে পৌঁছে দেন পেঁয়াজ। ভারতেই নানা কারণে নাসিক পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। ভারতের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারকরা। চীন, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য, পরিবহন খরচসহ লাভ-লোকসান হিসাব করছেন তারা।খাতুনগঞ্জে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) প্রতিকেজি নাসিক পেঁয়াজ ৫৩-৫৪ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, আগের দিন সোমবার নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪৮ টাকা।
পেঁয়াজ সংকট নিরসনে তুরস্ক থেকে ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ৪৭৬ টন তুরস্কের পেঁয়াজ আসে টিসিবির। আগামী ৭ অক্টোবর টিসিবির জন্য ১ হাজার ৬৫২ টন তুরস্কের পেঁয়াজ নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, বুধবার (৬ অক্টোবর) আমরা চট্টগ্রাম নগরে ৯টি ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৯টি ট্রাকে নিত্যপণ্যের সঙ্গে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকায় বিক্রি করব। প্রতি ট্রাকে ২৫০ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হবে। টিসিবির ট্রাকে প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা বিক্রি করা হবে।