নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিকভাবে দল পরিচালনা করে দেশে বিএনপির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা জনগণ বিশ্বাস করে না। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরাই তাদের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করছেন।মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, এরই মাধ্যমে বিএনপির থলের বিড়াল এক এক করে বের হতে শুরু করেছে। অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে! তাই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপি দিনরাত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, বিষোদ্গার করছে। শেখ হাসিনা সরকার তা সহ্য করে যাচ্ছে উদারতা দিয়ে। বিএনপিকে পরশ্রীকাতর এবং অসহিষ্ণু রাজনীতির ধারক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগণতান্ত্রিক পথে দল পরিচালনা করে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে-একথা জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সবসময় বিএনপির অপরাজনীতির বিষয়ে কথা বলে আসছে। এখন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবিরাই তাদের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করছেন। মুখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফাঁকা বুলি ছাড়লেও নিজ দলে গণতন্ত্রহীনতা এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতন্ত্র বহির্ভূত কাজ করা চোখে আঙুল দিয়ে বিএনপিকে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদেরই সমর্থিত একজন বুদ্ধিজীবী।গত এক যুগ ধরে দেশ রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এ অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত এক যুগ ধরে বিএনপির রাজনীতিই গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের রাজনীতি এখন সংকটের খাদের কিনারে অবস্থান করছে। রাজনীতি আর মিথ্যাচার বিএনপিকে হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। তাদের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা এ সংকটের জন্য বিএনপির অপরাজনীতিই দায়ী।এর আগে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। মতবিনিময় সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও এখন বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট চালু হওয়ায় দেশের জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় বিদেশগামী আবেদনকারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের বিলম্ব তথা ধীরগতি আমাদের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে, তাই কোনোভাবেই আর বিলম্ব করা যাবে না। মন্ত্রী বাংলা ভাষায় লাইসেন্স তৈরি করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।ওবায়দুল কাদের যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে বিআরটি’কে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাংকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক নিরাপত্তার (Road safety) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। তাদের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। বিশ্বব্যাংক অহেতুক বিলম্ব করলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পারলে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পও নিজেরা করতে পারব।