নিজস্ব প্রতিবেদক : জামিনের সংবাদে কারাগারের ভেতরে থাকা পরীমনির রাত কেটেছে আনন্দে, হাতে লাগিয়েছেন মেহেদি। এই আনন্দে পরীমনি মধ্যরাত পর্যন্ত অন্য নারী আসামিদের সঙ্গে গল্প করেন।কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বিউটি পার্লার রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রশিক্ষণের জন্য এই পালার করা হয়েছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কাশিমপুর নারী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সুত্র জানায়, পরীমনির জামিনের কাগজ রাত এগারোটায় এসে পৌঁছায়। সকালের দিকে তাকে অবগত করা হয় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।সূত্র আরও জানায়, মঙ্গলবারেই জামিনের খবর পরীমনি জানতে পারেন। তারপরে খুশিতে ওয়ার্ডে মধ্যরাত পর্যন্ত পরীমনি অন্য নারী আসামিদের সঙ্গে গল্প করেন। সূত্রটি দাবি করেন, যেহেতু নারী বন্দিদের প্রশিক্ষণের জন্য কারাগারের ভেতরে বিউটি পার্লার রয়েছে, আসামিদের সেখানেও সাজার সুযোগ থাকে। সেখান থেকেও মেহেদি লাগাতে পারেন পরীমনি। এছাড়া কারাগারের ভেতর থেকেই মেহেদি সংগ্রহ করে হাতে লাগিয়েছেন বাইরে থেকে আনার কোনো সুযোগ নেই।এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে স্বজনরা তাকে বরণ করে নেন।এ সময় পরীমনির পরনে ছিল সাদা রঙের টিশার্ট, সান গ্লাস এবং মাথায় পাগড়ির মতো করে প্যাঁচানো ছিল সাদা ওড়না।পরীমনির জামিনের খবর পেয়ে কারাফটকে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। তাদের উদ্দেশে তিনি হাত নাড়েন।দেখা যায়, তার হাতে মেহেদি দিয়ে তিনি কিছু একটা লিখেছেন। ফটো সাংবাদিকদের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, তার হাতের তালুতে স্পষ্ট করেই প্রতীকী চিহ্নসহ ইংরেজিতে লেখা হয়েছে একটি বাক্য।বাক্যটিতে লেখা ছিল, হাতে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ বলে গালি দিয়ে তাকে ভালোবাসতে নিষেধ করেছেন পরী। তবে কার উদ্দেশে এ লেখা তা পরিষ্কার নয়। মেহেদি দিয়ে এই লেখাটি অনেকেরই চোখে পড়ে। হাতে লাভ চিহ্নও ছিল। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জামিন পান পরীমনি। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, মঙ্গলবার পরীমনির জামিন হলেও সঠিক সময়ে জামিনের কাগজ কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। রিমান্ডের সময়সীমা বাদে কাশিমপুর কারাগারে ১৯ দিন ছিলেন আলোচিত এই নায়িকা।