ভারতে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী

ভারতে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী
কলকাতা: রাখি বন্ধনের আট দিন পরেই জন্মাষ্টমী পালন করে থাকেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা। পুরান মতে, দেবকীর অষ্টম সন্তান রূপে শ্রীকৃষ্ণের জন্মকেই জন্মাষ্টমী বলা হয়।দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য রূপ গোপাল পূজিত হয়ে থাকেন। মনে করা হয়, ৩২২৮ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ১৯ জুলাই ভগবান বিষ্ণুর মানবরূপী অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল।এ উপলক্ষে সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতসহ পশ্চিবঙ্গজুড়ে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী উৎসব। দক্ষিণ ভারতে দিনটি পালন হয় গোকুলাষ্টমী ও মহারাষ্ট্রে শ্রীকৃষ্ণের পুজা শুরু করা হয় দইয়ের হাঁড়ি ভেঙে। উত্তর প্রদেশের মথুরায় কৃষ্ণের জন্ম হলেও তার বেড়ে ওঠা বৃন্দাবনে। সেজন্য কৃষ্ণের সবচেয়ে বড় আরাধনার আয়োজন হয়ে থাকে বৃন্দাবনেই। শুধুমাত্র বৃন্দাবনে আছে ৪০০-র বেশি শ্রীকৃষ্ণের মন্দির।কলকাতার ইসকন মন্দির, মহামিলন মঠ, উত্তর ২৪ পরগনা খড়দহ শ্যামসুন্দর মন্দির, পাটবাড়ী আশ্রম, কলকাতার বাগবাজার গৌড়ীয় মিশন, কাশীপুরের জিউ ঠাকুরের মন্দিরসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাধাকৃষ্ণের মন্দিরগুলোতে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সমস্ত মন্দির সেজে উঠেছে আলোর মেলায়। এছাড়া জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বাড়ি বাড়ি পালন হয়ে থাকে।সারা দিন নির্জলা উপবাস করে দিনটির দিবাগত রাতে গোপালকে নিজের স্নেহের সন্তানের মতো সাজিয়ে তার উদ্দেশে নানা রকম ভোগ অর্পণ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রাধান্য পায় লুচি তরকারি, তালের বড়া, মালপোয়া ও দুধের তৈরি বিশেষ ক্ষীর।  দিনটি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যে জন্মাষ্টমী পালন করা হোক। ধর্মের সঙ্গে রাজনীতির রঙ পশ্চিমবঙ্গবাসী কখনো বরদাস্ত করে না। কেউ কেউ উৎসবের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি করতে চান। সেই বিভেদকামী শক্তিকে পরাস্ত করে আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভারতে জন্মাষ্টমী পালন হোক।তবে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মীয় জমায়েত না করার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন