শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গলমাঝি ঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শেষ হলেও শুক্রবার (২৭ আগস্ট) থেকে চালু হয়নি ফেরি পারাপার। পদ্মা সেতুর পিলারে চার বার ফেরির ধাক্কার পর সেতু এলাকা এড়ানোর জন্য মঙ্গলমাঝির ঘাটে ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।তবে নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত ঘাটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।বিআইডব্লিউটি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারিস আহামদ পাটোয়ারী জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) জাজিরা-শিমুলিয়া ফেরিঘাটে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচলের কথা বলা হয়। একই সঙ্গে শুক্রবার থেকে ফেরি চলাচল শুরুর কথা বলেছিল কর্তৃপক্ষ।বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বুধবার ৩৭-৩৯ নম্বর পিলার এলাকার চ্যানেলে পানির গভীরতা ছিল ১২ ফুট। বৃহস্পতিবার গভীরতা পাওয়া গেছে ৬ ফুট। সংস্থার হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ নিয়মিত পানির গভীরতা পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ঘাটে ফেরি পরিচালনার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ থাকায় এ পথের যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করছেন। বাড়তি চাপে সেখানে তৈরি হচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফেরি পারের জন্য ঘাটে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লেগেছে। ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন সেতুটির ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শাহজালাল নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এরপর ৯ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামে আরেকটি রো রো ফেরি ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ১০ নম্বর পিলারেই ১৩ আগস্ট কাকলি নামে একটি ফেরি ধাক্কা দেয়। এরপর ফেরিঘাট সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারিস আহামদ পাটোয়ারী বলেন, ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শেষ। নদীতে নাব্যতা সংকট ও রাস্তা প্রশস্ত না থাকায় চালু হচ্ছে না ঘাটটি। সমস্যা সমাধান করে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে ফেরি চালুর ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি বলতে পারবে। আমাদের ঘাট প্রস্তুত করার কাজ করে দিয়েছি।কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, মঙ্গলমাঝি ঘাটে ফেরি চালুর ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। কবে চালু হবে বা হবে কিনা জানিনা।