এছাড়াও জনশুমারি ও গৃহগণনার মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের বাস্তবায়নে দেশীয় কোম্পানিটি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর চাহিদার তুলনায় আরো আরো নতুন ও আধুনিক ফিচার সংযোজন করেছে।
সূত্র জানায়, দরপত্রে ১৫০ কোটি টাকার বেশি সরাসরি ব্যবধানের পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদিত পণ্য হওয়ায়, প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং শিল্পায়ন ও কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশীয় কোম্পানি সম্প্রসারণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ একাধিক দেশীয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিবিএসকে চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজিপি) প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিবিবিএস। দেশীয় প্রতিষ্ঠান বিদেশি কোম্পানির চেয়ে উন্নত স্পেসিফিকেশন অর্থাৎ ২ জিবির পরিবর্তে ৪ জিবির র্যাম এবং ৩২ জিবির পরিবর্তে ৬৪ জিবি রম সমৃদ্ধ ট্যাব দেওয়ার কথা বলেছে। সেটিও ফেয়ারের চেয়ে ১৪৬ কোটি টাকা কমে। অর্থাৎ টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা দেশীয় প্রতিষ্ঠান। অথচ বিবিএস বিদেশি গুরুত্বে কোম্পানিকে।
প্রকল্পের আওতায় শুধু ডিজিটাল জনশুমারির জন্য প্রথম সংশোধনীতে ২ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম সমৃদ্ধ ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কিনতে ৫৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও এর চেয়ে কম বাজেটে এর চেয়ে উন্নত স্পেসিফিকেশনের ট্যাব কেনা সম্ভব।
ই-জিপিতে বিদেশি কোম্পানি ৫৪৮ কোটি টাকা এবং দেশীয় কোম্পানি ৪০২ কোটি টাকায় টেন্ডার সাবমিট করেছে। ই-জিপির নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। কিন্তু টেন্ডারে অংশ নিতে না পারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিবিএস চাচ্ছে ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরদাতাকে কাজ দিতে।
বিবিএস মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ট্যাব কেনার বিষয়ে সিসিজিপি সিদ্ধান্ত নেবে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে। ’
প্রবাসীদের গণনা প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, প্রবাসীদের গণনার প্রস্তাব থাকছে। আমরা এটা বাদ দিচ্ছি না। প্রতিটা হাউসহোল্ডে যাবো এবং প্রবাসীদের গণনা করবো। ’
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় নানা কাজ সম্পন্ন হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ছিল ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ছিল ১৮১ কোটি ১১ লাখ টাকা। কিন্তু সাহায্যের টাকা না পাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় কমানো হচ্ছে। নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হচ্ছে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলমান। ২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ পূর্ণ হবে।