সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাত আসামিকে রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলার প্রধান আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ আরও ছয় আসামি এখনো রিমান্ডে রয়েছেন।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সাত আসামিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে। এ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই সাত আসামি হলেন টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
গত ৩১ জুলাই রাতে মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকায় রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। সিফাত ও শিপ্রা বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ওই হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি টেকনাফ থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ও বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের জেলা কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের কক্সবাজার কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনা সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্যচিত্র পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তির বক্তব্য, আলামতসহ সবকিছু যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।