সমাচার রিপোট : কেরাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের বাবা প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.নূর মোহাম্মদ আর নেই। তার মৃত্যুতে কেরানীগঞ্জে শোকের ছায়া নেমেছে। ভারতের দিল্লীতে মেডান্ডা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আজ ১৫ আগষ্ট রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহেৃরাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র, দুই কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.নূর মোহাম্মদ ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ সৈনিক। তিনি বার্ধক্য জনিত কারনে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন পরে গত ৩ জুলাই রাতে তার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ সমস্যা দেখা দিলে ৪ জুলাই তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ি আরোউন্নত চিকিৎসার জন্য গত জুলাই তাকে ভারতের দিল্লীর মেডান্ডা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎিসাধিন অবস্থায় আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৭১ সালে ২ এপ্রিল কেরানীগঞ্জে গনহত্যার সময় মুক্তি যোদ্ধা ডা. নুর মোহাম্মদ এর বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি কেরানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাঘৈর গ্রামের নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে তিনি একটি ক্যাম্প গড়ে তুলেন। ডাঃ নুর মোহাম্মদ মুিক্তযোদ্ধাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাসহ নানাভাবে সাহায্য করেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে প্রথম ৯জন সশস্র সেনা বাঘৈর গ্রামে নিহত হয়। এই ঘটনা সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আলোড়িত করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠক মোস্তুফা মহসীন মন্টু,সুলতান উদ্দিন আহমেদ রাজা,চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও মেজর বেগ বাঘৈর ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং শুরু করেন। ডাঃ নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পুরান ঢাকায় একাধিক গেরিলা হামলা পরিচালনা করে সফল হন। তারা কেরানীগজ্ঞ,মুিন্সগজ্ঞসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় সফল অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া একজন প্রখ্যাত পল্লী চিকিৎসক হিসেবে আকাশচুম্বি খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি আজীবন নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেেেম আসে।