শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সদর উপজেলা, নকলা পৌরসভা, শ্রীবরদী উপজেলা ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টির সময় পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।এসময় আরও চারজন আহত হয়েছেন।মৃতরা হলেন-সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে কৃষি শ্রমিক মোস্তফা ওরফে ঝন্টু (৪০), নকলা পৌরসভার লাভা মহল্লার বদ্দি মিয়ার ছেলে আজিজুল হক (৩৪), শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আকরাম (১৪) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারীপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল (১৫)।আহতরা হলেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মৃত জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪), একই গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫), নকলা পৌরসভার লাভা মহল্লার মুক্তার মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবীর (৩০) ও একই মহল্লার আব্দুস সালামের ছেলে বাবু মিয়া (২৮)।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে বুধবার দুপুরের বৃষ্টির মধ্যে অন্যের জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলেন মোস্তফা। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মোস্তফার মৃত্যু হয়। এতে আহত হন তার সঙ্গে থাকা আবু সাঈদ ও বদু মিয়া। পরে আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আবু সাঈদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।একইদিন দুপুরে নকলা পৌরসভার লাভা মহল্লায় কৃষক আজিজুল হক তার বাড়ির সামনে রোপা আমন ক্ষেতে ধানের চারা রোপণ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতে আজিজুল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে বজ্রাহত হন হুমায়ুন কবীর ও বাবু মিয়া।দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে আকরাম হোসেন নামে এক কিশোর বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।অপরদিকে বুধবার দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারী পাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছিল রাসেল। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রাসেলের মৃত্যু হয়।সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।