নিজস্ব প্রতিবেদক : একদিকে চলছে প্ল্যাটফর্মে ঝাড়ুর কাজ। অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ব্যস্ত জীবাণুনাশক দিয়ে ট্রেন পরিষ্কারের কাজে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধি-নিষেধ শেষে আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। এ লক্ষ্যেই প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন।মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, শুনশান নীরবতা। দুই টিকিট কাউন্টারে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করছেন। মঙ্গলবার ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ আগস্টের ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। স্টেশনের ১০টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।এদিকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় না থাকলেও প্ল্যাটফর্মের ভেতরে ভিড় ছিল পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। ধুয়ে-মুছে প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার করছেন একদল কর্মী। আরেক দল ব্যস্ত ছিল জীবাণুনাশক দিয়ে ট্রেনের ভেতর ও বাইরে পরিষ্কারে। সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ঢাকা থেকে ২৫ জোড়া আন্তঃনগর ও ১২ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আর সারাদেশ থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ২০ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।তিনি বলেন, আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করবো। ইতোমধ্যেই স্টেশন ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। সেসঙ্গে জীবাণুনাশক দিয়ে ট্রেনের ভেতর ও বাইরে পরিষ্কার করা হচ্ছে।কমলাপুর রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, আগামী বুধবার ভোর পৌনে ৫টায় ময়মনসিংহের উদ্দেশে বলাকা কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর পর ভোর ৫টায় তুরাগ লোকাল, ৫টা ৪০ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ছেড়ে যাবে। প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। এরপর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে নীলাসাগর এক্সপ্রেস, ৭টায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সাড়ে ৭টায় তিস্তা লোকাল, পৌনে ৮টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে মহানগর প্রভাতী, সোয়া ৮টায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস, সাড়ে ৮টায় মহুয়া কমিউটার, ৯টা ১০ মিনিটে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, পৌনে ১০টায় তিতাস কমিউটার, ১০টা ১০ মিনিটে একতা এক্সপ্রেস ও পৌনে ১১টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে।এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- কোনো প্রকার ভাড়া বাড়ানো হবে না। সব অগ্রিম টিকিট যাত্রার পাঁচদিন আগে ক্রয় করা যাবে। তবে অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমনিচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ট্রেনে ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।