ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণ যোগ্য নতুন ভয়ঙ্কর ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল প্রদর্শন করেছে ইরান। জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘মিসাইল এবং বিশেষত ক্রুজ মিসাইল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এর পাল্লা ৩০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটারে বাড়িয়েছি এটা একটি বড় অর্জন। তবে আমাদের সামরিক শক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আত্মরক্ষামূলক।’
দিবসটি উপলক্ষে নতুন নতুন সামরিক সাফল্য প্রদর্শন করছে ইরান। আজ যেসব নতুন অস্ত্র উদ্বোধন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘জেনারেল কাসেম সোলাইমানি’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার ‘আবু মাহদি আল মুহানদেস’ নামের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
আবু মাহদি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি সাগরে শত্রুর নৌযানসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবের পর গত চার দশকে ইরান প্রতিরক্ষা শিল্পে এত বেশি অগ্রগতি সাধন করেছে যে অতীতের সঙ্গে কোনো ভাবেই তুলনাযোগ্য নয়।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদেস।