বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন সত্ত্বেও ঈদের পর দিন থেকেই নৌরুট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউনে ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধু যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ ছিল।
এছাড়া নৌরুটে সাধারণ যাত্রীদের পারাপার ছিল নির্বিঘ্ন। তবে শনিবার যাত্রীদের ভিড় অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সকাল থেকেই প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো রো চারটি কে টাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুইদিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল নৌরুটে। ফলে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে নৌরুটে।
এছাড়া শনিবার সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোটবড় অসংখ্য গাড়ি পার হচ্ছে ফেরিতে। এদিকে পদ্মায় পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বেড়েছে সে কারণে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে।
মো. কায়েস শেখ নামে এক যুবক বলেন, কাল থেকে কারখানা খুলবে। এতদিন তো বাড়িতেই ছিলাম। কাল থেকে কাজে যেতে হবে। তাই আজকেই চলে যাচ্ছি।
জাহানারা বেগম নামে পিরোজপুর থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, গার্মেন্টস খুলবে কাল। বাড়িতে থেকে জমানো টাকা শেষ হয়ে গেছে। কিছুই করার নেই এখন ঢাকায় ফিরতে ডাবল ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছি।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে থ্রি-হুইলার এবং মোটরসাইকেলে করে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন।
বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রাসহ হালকা যানবাহনে চড়ে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাচ্ছেন। যাত্রাপথে স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণ।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, নৌরুটে শনিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদেরও পার করা হচ্ছে।