নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে শুধু শিল্প-কলকারখানার নয় গৃহস্থালি, মেডিক্যাল ও কৃষিসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) মেঘনা নদীর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরির লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির অনলাইন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।কর্মশালায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) মাস্টারপ্ল্যানের জন্য প্রণীত ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল সেন্টার ফর এনভায়রমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মেঘনা নদীর দূষণরোধ, দখলমুক্ত ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সভায় জানানো হয়, ঢাকার চারপাশসহ দেশের নদীগুলোতে পয়ঃবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে নিক্ষেপ করায় নদীর পানি দূষিত করছে। এতে পানির গুণগতমান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকার ঢাকার চারপাশসহ অন্যান্য নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে।এ সময় আরও জানানো হয়, এ বছরের শুরুতে মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ ও নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে আইডব্লিউএম ও সিইজিআইএসের সঙ্গে চুক্তি সই হয়।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মেঘনা নদী যাতে দূষণ ও দখলের কবলে না পড়ে এবং ভবিষ্যত চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায় সে লক্ষ্যেই মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কী পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না এ সম্পর্কে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই। এ মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিভিন্ন দাতা সংস্থাসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিব, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর/সংস্থার প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা অংশগ্রহণ করেন।