নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে পোড়া ৪৮ মরদেহর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।শুক্রবার (৯ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ৪৮টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি মরদেহ পোড়া ছিল। এদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা বেশি। কয়েকটি মরদেহ এতটাই পোড়া ছিল ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়নি। তবে আমরাও মরদেহগুলো থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছি।এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ৪৮টি মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত শুরু করেছিলেন।তিনি আরো বলেন, ১২টি মরদেহের দাবিদার ২৫ পরিবার। ডিএনএ রিপোর্টের উপর ভরসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মরদেহগুলো থেকে সিআইডি ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ কমপ্লিট করেছে। এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। দাফনের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঢামেক মর্গে সিআইডির অ্যাসিসট্যান্ট অ্যানালাইসিস্ট নুশরত ইয়াসমিন জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৯টি মরদেহের জন্য ২৬ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাতে তেমন দাবিদার না থাকায় ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ আপাতত বন্ধ করেছে। শনিবার আবার শুরু করবে।ঢাকা মেডিক্যাল মর্গ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্ত পরে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত কক্ষে রাখা হয়েছে। কারণ সংরক্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত ফ্রিজ নেই। যে কয়েকটা ফ্রিজ আছে, সেখানে আগে থেকেই মরদেহ রাখা আছে।