নিজস্ব প্রতিবেদক : মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ভবন মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নগর ভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শীর্ষক’ দিকনির্দেশনামূলক সভায় তিনি এ আহবান জানান।ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আপনারা ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টভিত্তিক ভবনের মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলবেন। সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আছেন, তাদের অনুরোধ করবেন তাদের আঙিনায়, তাদের বাসা-বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় যেন আমাদের মশককর্মীরা ঢুকতে পারে। কারণ, আমরা দেখছি বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে, বিভিন্ন সামগ্রী, চাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল ও বিভিন্ন পাত্রে স্বচ্ছ পানি জমে থাকার কারণে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে মশকের বিস্তৃতি হচ্ছে।
শেখ তাপস বলেন, বিভিন্ন পাত্র-সামগ্রীর মধ্যে পানি জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলোতে লার্ভিসাইডিং করতে হবে, কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ এসব জায়গায় বৃষ্টির পরে জমা পানিতে দুই-তিনদিনের মধ্যেই এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটে, প্রজনন ঘটে। ছাদের কার্নিশে ও ছাদের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো দেখতে হবে।নারী কাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অনায়াসে যাতায়াতের সুযোগ আছে। যেসব বাসাবাড়িতে ফুলের টব-ছাদবাগান বেশি আছে, আপনারা প্রয়োজনে সেসব বাসাবাড়িতে তাদের প্রবেশের সুযোগ করে দেবেন। বাসাবাড়ির আঙিনা, ছাদে গিয়ে হলেও আমাদের এই মশক নিধন কার্যক্রম নিতে হবে।মশক নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, আপনারা চাহিদা দেবেন, যেখানে যা লাগবে আমাদের জানাবেন। এই কার্যক্রম সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করবেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। আমরা দেখছি, হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সুতরাং, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আপনাদের তদারকি আরও বাড়াতে হবে। আপনাদের নেতৃত্বে গতবারের মতো ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও সফল হবো।এসময় মেয়রের সঙ্গে নগর ভবন প্রান্তে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।