স্পুটনিকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই বৈঠেক সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ ও আগ্রহের ভিত্তিতে মিয়ানমারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারের প্রতি বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো স্বার্থন্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রক্ষিতে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত বলে মনে করেন মিন অং।রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সিরিয়া, নাগোর্নো কারাবাখ, লিবিয়ার মতো সাম্প্রতিক যুদ্ধেক্ষেত্রগুলোতে বেশ অকার্যকর প্রমাণিত হলেও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া-চীন ছাড়া মিয়ানমারের সামনে আর কোনো দরজা খোলা নেই।রাশিয়ান জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান একে বারস শিপবিল্ডার্স স্পুটনিককে জানিয়েছে, আসিয়ানভুক্ত একটি দেশ (মিয়ানমারও আসিয়ান ভুক্ত একটি দেশ) তাদের কাছ থেকে চারটি ‘প্রজেক্ট ২২১৬০’ টহল জাহাজ বা পেট্রল শিপ কিনছে, যার মধ্যে দুটি জাহাজ সংশ্লিষ্ট দেশে তৈরি করা হবে।উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের এ সফরে মাত্র দুই দিন আগে ১৮ জুন শুক্রবার মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। রাশিয়া এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
মিয়ানমার প্রধানের সফরের প্রতিবাদ
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারকে বৈধতা দেওয়ায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকারের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি অব্যাহত রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সোমবারের বৈঠকে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মস্কো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। যদিও দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেও সম্মত হয়েছেন তারা।‘জাস্টিস ফর মিয়ানমার’ এই সফরের নিন্দা জানিয়ে রাশিয়া সংবাদ মাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, মিন অং হ্লাইং একজন যুদ্ধাপরাধী, যিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন। তার রাশিয়া সফর নিয়ে আমরা হতাশ। রাশিয়া তাকে আমন্ত্রণের মাধ্যমে জন আকাঙ্ক্ষাকে প্রত্যাখ্যান করে ক্যুর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকেই যেন বৈধতা দিল।