নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে এখন চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কষ্টকর হয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।তিনি বলেন, আমাদের কোনো সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) নেই।যদি আমি ১৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত দিতে পারি, আর আমার সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট ক্যাপটিভ আছে। তাহলে প্রায় ১৯ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ এখন আমি দিচ্ছি। তাহলে হাতে আছে চার হাজার মেগাওয়াট। ১০ শতাংশ আমাকে ডিমেডেট রাখতে হবে। আমি কিন্তু একেবারে নেট টু নেটে আছি।রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলে ৪ থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট সারপ্লাস আছে। আমি খুঁজে পাই না যে কোথায় আছে। আজকে যদি এ মুহুর্তে ১৫ হাজার লাগে আমি দিতে পারবো না। এ রকম অবস্থায় আছি। বৃষ্টি হচ্ছে এ সময়েও ১২ হাজার সাড়ে ১২ হাজার চলে যাচ্ছে। কোভিড সিচুয়েশন যদি না থাকতো, তাহলে ১৫ থেকে ১৬ হাজার যেতো। তাহলে কিন্তু কঠিন হয়ে যেতো।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হাতে রাখতে হবে। কারণ পাওয়ার যখন তখন উঠানামা করে। যার জন্য এটাকে কাভার আপ করতে, গ্রিড ব্যালেন্সের জন্য হাতে রাখতে হবে। যদি কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট আমরা ভবিষ্যতের জন্য কন্টিনিউ করি যেগুলো আমরা ক্ষুদ্র মেয়াদে নিয়ে এসেছিলাম, সেগুলোকে অবশ্যই নো পেমেন্ট, নো ইলেক্ট্রিসিটি বেসিসে আমরা রাখবো। যদি ইমারজেন্সি প্রয়োজন হয়, তখন ব্যবহার করবো।তিনি আরও বলেন, দ্রুততার সঙ্গে এলএনজি আমদানি করে পাওয়ার প্ল্যান্ট করা যায়। সেই কারণে এলএনজির দিকেও কিছুটা হয়তো পরিধি বাড়াবো।সোলার পাওয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোলার থেকে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। যারা বাহির থেকে বলতেছে বাংলাদেশ পুরা সোলার দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতেছে, তাদের বলবো আপনারা এসে শুরু করেন। সোলার বিদ্যুৎ তো এ আছে, এ নেই। দাম হবে প্রায় ৩২ টাকা। সোলার হোক, ইলেক্ট্রিসিটি লাইন হোক, আমার দরকার সহজে বিদ্যুৎ পৌঁছানো।অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের ট্রান্সমিশন কোম্পানি জিএমআর ট্রান্সমিশন লাইন করে আমাদের বিদ্যুৎ দেবে। এতে সুবিধা হলো আমাদের বিদ্যুতের লাইনটা হয়ে গেল। এতে একটা বড় দ্বার উন্মোচন হবে। ভবিষ্যতে এ লাইন দিয়ে আমরা আরও বিদ্যুৎ আনতে পারবো। আমরা চেষ্টা করছি, ড্রাই সিজনে আমাদের বিদ্যুৎ ওদের ওখানে আমরা রফতানি করতে পারবো।আগামী মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় মিটিংয়ে মূলত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়ে কথা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে সুন্দরবনের রামপাল আলোচনা হবে। যে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর প্রাথমিক কাজও হয়নি।ইউনেস্কোর উদ্বেগ যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সেগুলোর মধ্যে রামপাল আছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার কনসার্ন পাওয়ার প্ল্যান্টটা কত দ্রুত হবে। আরও কত দ্রুত পাওয়ার দিতে পারবো। আমর কনসার্ন এটা, আরও ওইটা (ইউনেস্কোর উদ্বোগ) পরিবেশ দফতর বলবো।