আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, হংকংয়ের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রভাবের ওপর জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭তম অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ব্যাচেলেট বলেন, আমরা এর (হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা আইন) প্রয়োগ এবং নাগরিক ও গণতান্ত্রিক স্থানের পাশাপাশি স্বাধীন প্রচার মাধ্যমের ওপর এর শীতল প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় ১০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সপ্তাহের শেষের দিকে প্রথম মামলাটি বিচারের জন্য আসছে।তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ জিনজিয়াংয়ে উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে প্রবেশাধিকারের জন্য চীনের সঙ্গে আলোচনা করছে।গত বছরের জুন মাস থেকে হংকংয়ে আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন রাজনৈতিক বিরোধী দল এবং সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কণ্ঠরোধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনটি নাটকীয়ভাবে আধা-স্বায়ত্তশাসিত শহরটির ওপর চীনের দখলদারিত্ব প্রসারিত করেছে।গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) দেশগুলো হংকং এবং জিনজিয়াং-এ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।