সোমবার (২১ জুন) ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বাংলানিউজকে বিধিনিষেধে গাড়ি চলাচলের বিষয়ে বলেন, যে সাতটি জেলাতে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে তার যেকোনো একটিকে এড়িয়ে ঢাকা শহরের বাস প্রবেশ করা সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটে দূরপাল্লার সব বাস গাজীপুর হয়ে চলাচল করে। উত্তরবঙ্গের সব বাস গাজীপুরের চন্দ্রা হয়ে চলে। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সব বাস মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা হয়ে যাতায়াত করে। সিলেট ও চট্টগ্রামের বাস নারায়ণগঞ্জ হয়ে চলে। সুতরাং কোনোভাবেই দূরপাল্লার বাস চলাচল সম্ভব নয়।
ট্রেন চলছে সীমিত পরিসরে
বাস বন্ধ হলেও চালু রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। তবে যেসব এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেসব জেলায় ট্রেন থামবে না।
এ বিষয়ে সোমবার (২১ জুন) রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের আলোকে লকডাউনের আওতায় থাকা ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলার রেল স্টেশনে ট্রেন থামবে না। মূলত গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে স্টেশনে ট্রেন থামতে হয়, সেসব স্টেশনে থামবে না। যেসব জেলায় রেল স্টেশন আছে এবং লকডাউন করা হয়েছে সেইসব স্টেশনেও থামবে না।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা থেকে গাজীপুরের টঙ্গী ও জয়দেবপুর হয়ে যে সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে সেগুলো ওই স্টেশনে থামছে না। নারায়ণগঞ্জ হয়ে চলে শুধু মেইল ও লোকাল ট্রেন। করোনার কারণে এসব ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
সারাদেশে নৌপথেও চলাচল বন্ধ
প্রথমে নির্দিষ্ট সাত জেলার কথা বললেও পরবর্তীতে সারাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)৷
ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএয়ের পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা দেওয়া নৌযানের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না।
খোলা রয়েছে আকাশপথ
নতুন এ নির্দেশনায় খোলা রয়েছে আকাশপথ। যেহেতু লকডাউন জারি করা কোনো জেলাতে বিমানবন্দর নেই, সেহেতু ফ্লাইট পরিচালনা করতে কোনো সমস্যা নেই৷
মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশপথ খোলা থাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, যশোর ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।